পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় কাটার দায়ে ফয়সাল আহমদ (২২) নামের এক যুবককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লম্বাখোলা এলাকায় বুলডোজার লাগিয়ে পাহাড় কাটার সময় তাঁকে এ জরিমানার আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো
প্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে একের পর এক টিলা নিয়ে চট্টগ্রামের নাগিন পাহাড়। বছরের পর বছর এই পাহাড়ের ওপর এক্সকাভেটর ও কোদালের কোপ পড়ার পর এখন নিশ্চিহ্নপ্রায়। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন সরকারের সময়ই ঐতিহ্যবাহী এ পাহাড় কেটে প্রায় নিশ্চিহ্ন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন
পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ‘চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নে গত এক বছরে ১৫টির বেশি ছোট-বড় পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১০টি মামলা হয়েছে। তবে কোনো মামলায় পাহাড় কাটার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তির নাম আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রঙিন টিন দিয়ে বেশ উঁচু ও বড় বেষ্টনী। বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ওপরে বাঁশ দিয়ে ত্রিপল সাঁটানো। এর ভেতর চলছে পাহাড় কাটার যজ্ঞ। এভাবেই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতের একটি পাহাড়।
সরকার পতনের পর অস্থিরতার সুযোগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর পরগনায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা।
বান্দরবানের থানচি উপজেলার ৩টি স্থান থেকে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। এই অভিযোগ থানচি উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও মাটি সরবরাহকারী উপঠিকাদার শৈক্যচিং মারমার বিরুদ্ধে।
সারা দিন সুনসান নীরবতা। রাত হলেই পাল্টে যায় দৃশ্য। শতাধিক শ্রমিক ব্যস্ত হয়ে পড়েন পাহাড় কাটতে। এভাবেই রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম বন্দরের পুরোনো জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস দখল ও পাশের পাহাড় কেটে চলছে বসতি নির্মাণ। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ইতিমধ্যে পাহাড় কেটে গড়ে তুলছে অর্ধশতাধিক স্থাপনা। এতে যে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর। সেখানে ফের শুরু হয়েছে পাহাড় কাটা। চলছে দিন-রাত সমানতালে পাহাড় কেটে প্লট-বাণিজ্য। এর আগে গত বছরও জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বাণিজ্য চলেছে। সে সময় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়েছিল। তবে এবার কার্যকর কোনো ভূ
তিন দিকে বয়ে গেছে স্বচ্ছ জলের ছড়া। মাঝখানে ছোট পাহাড়। সেই পাহাড়ে চোখ পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের তিন নেতার। সুন্দর পাহাড়টির মাটি কেটে সেখানে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাঁরা। এতে পাহাড় তো ধ্বংস হয়েছেই, এখন ইটভাটার জন্য জ্বালানি কাঠ জোগাড় করতে উজাড় করা হচ্ছে বনের গাছ।
বান্দরবানের লামায় পাহাড় কেটে কটেজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমার বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাহাড় কাটলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তর এত দিনে ব্যবস্থা না নিলেও দাবি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বিচারে পাহাড় কাটছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঘটনাস্থলে একটি দল পাঠিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছিল সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন। ১০ দিন আগে পাঠানো ওই চিঠি এখনো দেখেননি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা হওয়ায় অনিয়ম করেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রাস্তা নির্মাণের নামে অন্তত পাঁচটি পাহাড় কাটার পথ পরিষ্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম।